AVRO
দেওয়ানী : দেওয়ানী আপীল

HIGH COURT FORMSNO. J(3)

HEADING OF JUDGMENT ON APPEAL

 


মোকাম ঃ যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১

   সিরাজগঞ্জ।


উপস্থিত ঃ   সুপ্রিয়া রহমান

    যুগ্ম জেলা জজ, ১নং আদালত

    সিরাজগঞ্জ।


রায়ের তারিখঃ    ১৩ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। 

                 বুধবার, ২৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিঃ


মোকদ্দমা নম্বর ঃ বাটোয়ারা আপিল-১৩৯/২০১৮

              

[বাটোয়ারা ১৯/২০১২ নং মোকদ্দমায় সহকারী জজ আদালত, চৌহালী, সিরাজগঞ্জ কর্তৃক প্রদত্ত বিগত ০৬/০৬/২০১৮ ইং তারিখের রায় ও বিগত ১০/০৬/২০১৮ ইং তারিখের ডিক্রির বিরুদ্ধে।]


বিবাদী-আপীলকারী ঃ ১(ক) আয়মনা গং

বনাম

বাদী-রেসপন্ডেন্ট ঃ ১(ক) মোছাঃ কালুমতি বেওয়া গং


অত্র আপীল মামলাটি গত ১৪/০৬/২০২৩ ইং তারিখ নিম্নলিখিত বিজ্ঞ কৌশুলীদের উপস্থিতিতে শুনানী হয়।


জনাব এ্যাড: শ্রী বিষ্ণুপদ সাহা আপীলকারীপক্ষে।

জনাব এ্যাড: আবু বাশার মোঃ মাসুম রেজা             রেসপন্ডেন্ট পক্ষে।

রায়

আপীলকারী-বাদীপক্ষ সহকারী জজ আদালত, চৌহালী, সিরাজগঞ্জ এর বাটোয়ারা ১৯/২০১২ নং মোকদ্দমায় বিগত ০৬/০৬/২০১৮ ইং তারিখের রায় ও বিগত ১০/০৬/২০১৮ ইং তারিখের ডিক্রি বলে বাদী-রেসপন্ডেন্ট কর্তৃক দায়েরকৃত মোকদ্দমা দো-তরফা সূত্রে ডিক্রী প্রদান করায় আপীল্যান্ট বিবাদীপক্ষ সংক্ষুদ্ধ হয়ে উক্ত রায়-ডিক্রি রদ রহিতের প্রার্থনায় ঈড়ফব ড়ভ ঈরারষ চৎড়পবফঁৎব এর ৯৬ ধারায় বর্তমান আপীলটি দায়ের করেন।


আপীলটি গ্রহণপূর্বক বাদী/রেসপনডেন্টপক্ষের প্রতি নোটিশ ইস্যু করা হয় ও মূল মামলার খঈজ তলব করা হয়। উভয়পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে আপীলে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।

উভয়পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীদের বক্তব্য শ্রবণের পাশাপাশি আপীলের মেমো ও বাটোয়ারা ১৯/২০১২ নং মামলার খঈজ পর্যালোচনা করা হয়।

মূল মামলায় রেসপন্ডেন্ট-বাদীপক্ষের আরজি সংক্ষেপে এই যে, চৌহালী থানাধীন চাঁদপুর মৌজার সি.এস ৪৬৮ নং খতিয়ানের ১০৬ শতক সম্পত্তির মালিক ছিলেন জোড়ান শেখ ও তার মাতা রমজান বিবি, সি.এস ১৪৮ নং খতিয়ানের ৯৫ শতক সম্পত্তির মালিক ছিলেন জুড়ান শেখ, রমজান বিবি, হোসেন শেখ ও মেলন বেওয়া এবং সি.এস ৪৭৫ নং খতিয়ানের ৩৩ শতক ভূমির একক মালিক ছিলেন মেলন বেওয়া এবং তাদের নামে সি.এস রেকর্ড সঠিকভাবে প্রস্তুত হয়। মেলন বিবি একমাত্র পুত্র হোছেন আলীকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। তৎপর রমজান বিবি একমাত্র পুত্র জুড়ান শেখকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। অতঃপর হোচেন আলী অবিবাহিত অবস্থায় জুড়ান শেখকে তার একমাত্র চাচাতো ভাই ওয়ারিশ রেখে মারা গেলে জুড়ান শেখ তার চাচাতো ভাইয়ের সাকুল্য সম্পত্তি এককভাবে প্রাপ্ত হয়ে ভোগ-দখলকার থাকেন। এস.এ রেকর্ডের সময় নালিশী তফসিল বর্নিত সম্পত্তির মধ্যে কিছু সম্পত্তি এস.এ ২৩৭ ও ৭৬৯ নং খতিয়ানে জুড়ান শেখ গংদের নামে লিপি হয়। বাকি সম্পত্তি কিছু নিঃস্বত্ববান দখলহীন ব্যক্তিদের নামে এস.এ ৭৮১, ৭৭০, ৭৭৬, ২৮৩ নং খতিয়ানে লিপি হয়েছে যা ভুল ও অশুদ্ধ বলে বাদীদের দাবী। বিগত আর.এস জরিপামলে তফসিল বর্ণিত ভূমি বাদীদের নামে বা তাদের পূর্ববর্তীদের নামে আর.এস রেকর্ড না হয়ে কতক বিবাদীদের ও কতক বিবাদীদের পূর্ববর্তীদের নামে হওয়ায় তা ভ্রমাত্মক। আর.এস রেকর্ড বাদীদের নামে বা তাদের পূর্ববর্তীদের নামে না হওয়ায় তাদের স্বত্বের উপর কালিমা লিপ্ত হয়েছে। নালিশী সম্পত্তি নিয়ে বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে কোন বাটোয়ারা হয়নি এবং বাদী-বিবাদীরা এজমালিতে ভোগ-দখলকার আছেন। গত ২৭/০২/১২ ইং তারিখে বিবাদীদের নিকট বাদীরা বাটোয়ারা করে চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করায় বাদীপক্ষ এই মোকদ্দমা আনয়ন করেন।

অপরদিকে রেসপন্ডেন্ট-বিবাদীগণ জবাব দাখিল করে উল্লেখ করেন যে, চৌহালী থানাধীন চাঁদপুর মৌজার সি.এস ১৪৮ নং খতিয়ানের ৩৩ শতক ভূমির মালিক ছিলেন জুড়ান শেখ, রমজান বিবি, মেলন বেওয়া এবং সি.এস ৪৭৫ নং খতিয়ানের ৯৫ শতক ভূমির একক মালিক ছিলেন মেলন বেওয়া। অতঃপর মেলন বিবি @ বেওয়া হোচেন আলীকে এক পুত্র এবং জেলেমন নেছাকে এক কন্যা ওয়ারিশ রেখে মারা যান। ফলে হোচেন শেখ সি.এস ১৪৮ নং খতিয়ানের ৩৩ শতক সম্পত্তির মধ্যে নিজের ও তার মাতা মেলন বিবির ওয়ারিশ হিসেবে আট আনা অংশের মধ্যে ১১ শতক এবং সি.এস ৪৭৫ নং খতিয়ানের ৯৫ শতক ভূমির মধ্যে মাতা মেলন বিবির ওয়ারিশ হিসেবে তিন ভাগের দুই অংশে ৬৩ শতক একুনে ৭৪ শতক ভূমি প্রাপ্ত হন। জেলেমন নেছা তার মাতা মেলন বিবির ওয়ারিশ হিসেবে সি.এস ১৪৮ নং খতিয়ানের ৩৩ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৫.৫ শতক এবং সি.এস ৪৭৫ নং খতিয়ানের ৯৫ শতক ভূমির মধ্যে মাতা মেলন বিবির ওয়ারিশ হিসেবে তিন ভাগের এক অংশ ৩২ শতক একুনে ৩৭.৫ শতক ভূমি প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে জেলেমন নেছা তার প্রাপ্ত সম্পত্তি হতে সি.এস ৪৭৫ নং খতিয়ানের ৪৭১ দাগের ৩৫ শতকের কাতে ০৭ শতক, ১৯২০ দাগের ৩৯ শতকের কাতে ০৯ শতক, ৭৮১ দাগের ২১ শতক একুনে ৩৭ শতক ভূমি গত ০৫/১০/১৯৪২ ইং তারিখের ৩৭২০ নং বিক্রয় কবলা দলিল মূলে নিহাল মন্ডলের নিকট বিক্রি করেন। অতঃপর জুড়ান মন্ডল ৪৬৮ নং খতিয়ানের ৪৪৬ দাগের ২২ শতকের কাতে ০৫ শতক ভূমি গত ২১/১০/১৯৪৬ ইং তারিখের ৩৯৩৮ নং দলিল মূলে মুক্তা বেওয়ার নিকট বিক্রি করেন। ছোবহান মন্ডল ৪৬৮ নং খতিয়ানের ৪৪৬ দাগের ২২ শতক ভূমি গত ১২/১১/১৯৫৯ ইং তারিখের ৮৪০১ নং দলিল মূলে অছিম মন্ডল গং দের নিকট বিক্রি করেন। বিবাদীগণ আরো দাবী করেন যে, জুড়ান মন্ডল আরো সম্পত্তি বিভিন্ন দলিল মূলে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেন। সে মোতাবেক এস.এ ২৩৭, ২৩৮, ৭৫৯, ৭৬৯, ৭৭০ এবং ৭৮১ নং খতিয়ানে খরিদ্দারগনের নাম সঠিকভাবে রেকর্ড হয়েছে। খরিদ্দারগন বিবাদীগণকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। বিগত আর.এস জরিপামলে আর.এস ১০৩, ২০২, ২২, ১৪৬ ও ১৪৫ নং খতিয়ান কতক বিবাদীগনের পূর্ববর্তীদের নামে সঠিকভাবে রেকর্ড হয়েছে। বাদীগণ ও তাদের পূর্ববর্তীরা নালিশী ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হওয়া সত্বেও ভিত্তিহীন ভবে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে এই মোকদ্দমা দায়ের করেছেন। উপর্যুক্ত অবস্থাধীনে বাদীপক্ষের মোকদ্দমা খরচাসহ ডিসমিস হবে।

এই মোকদ্দমাটি বিবাদী-আপীল্যান্টপক্ষের বিরুদ্ধে দো-তরফা সূত্রে ডিক্রী প্রদান করায় আপীলের মেমোতে উল্লেখ করা হয় যে, বিজ্ঞ বিচারিক আদালত বেআইনীভাবে ডিক্রী প্রদান করেছেন। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষের মোকদ্দমাটি দো-তরফা সূত্রে ডিসমিস করা উচিত ছিল তা না করায় উক্ত রায়-ডিক্রী রদ-রহিতযোগ্য। মোকদ্দমায় পক্ষাভাব থাকা সত্বেও বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষের মোকদ্দমায় ডিক্রী প্রদান করায় উক্ত রায়-ডিক্রী রদ-রহিতযোগ্য। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত বাদীর পূর্ববর্তী জুড়ান মন্ডল সাকুল্য ভূমি বিভিন্ন লোকের নিকট বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হওয়া এবং বাদী তাদের দাবীর সমর্থনে নালিশী ভূমির স্বত্ব দখল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়া সত্বেও ডিক্রী প্রদান করায় উক্ত রায়-ডিক্রী রদ-রহিতযোগ্য। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত বাদী ও বিবাদীপক্ষের কাগজাত, সাক্ষী, জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা না করে এবং বাদীপক্ষের নামে এস.এ ও আর.এস রেকর্ড প্রস্তুত না হওয়া সত্বেও বেআইনীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় উক্ত সিদ্ধান্ত বহাল থাকতে পারে না। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত মূল মোকদ্দমায় ডিক্রী প্রদান করার সমর্থনে যে সমস্ত কারণ ও যুক্তি প্রদর্শন করেছে তা বেআইনী ও ভ্রমাত্মক। বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের নথি তলব করে মূল মোকদ্দমার পরবর্তী যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করতঃ বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষকে নোটিশ দিয়ে উভয়পক্ষের শুনানী গ্রহণে মূল মোকদ্দমার রায়-ডিক্রী রদ-রহিত করতঃ মূল মোকদ্দমা খরচাসহ ডিসমিসের প্রার্থনা করেছেন।


বিজ্ঞ বিচারিক আদালত নি¤œলিখিত ০৫ টি বিচার্য বিষয়সমূহ গঠন করেন। 


বিচার্য বিষয় সমূহ ঃ-

১। মোকদ্দমাটি বর্তমান আকারে ও প্রকারে রক্ষণীয় কিনা?

২। অত্র মোকদ্দমাটি পক্ষ দোষে দুষ্ট কিনা?

৩। বিভাজ্য সকল সম্পত্তি মোকদ্দমাভুক্ত করা হয়েছে কিনা? 

৪। নালিশী ভূমিতে বাদীগনের স্বত্ব ও স্বার্থ আছে কিনা? 

৫। বাদীপক্ষ তার প্রার্থিত ছাহাম পেতে পারে কিনা?



উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে অত্র আপীল আদালত কর্তৃক নি¤েœাক্ত বিবেচ্য বিষয়সমূহ গঠন করা হলোঃ-

বিবেচ্য বিষয়সমূহ

১। বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের রায় ও ডিক্রি বহালযোগ্য কিনা।

২। এই আপীল মঞ্জুরযোগ্য কিনা।


আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ঃ

১/২ নং বিবেচ্য বিষয়সমূহ ঃ

আলোচনার সুবিধার্থে উপরোক্ত বিবেচ্য বিষয় দুটি একত্রে নেয়া হলো।

নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, এই আপীলকারীগণ মূল মোকদ্দমার ১-৩/৫-১৪ নং বিবাদী হিসেবে পক্ষ ছিলেন এবং বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষ ও এই বিবাদী-আপীলকারীদের সাথে দো-তরফাসূত্রে বাটোয়ারার প্রাথমিক ডিক্রী হয়। বিবাদী-আপীলকারীপক্ষ মূল মোকদ্দমায় কোন ছাহাম চাননি বরং মোকদ্দমাটি খরচাসহ ডিসমিস প্রার্থনা করা হয় এ কারণে যে, বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষ ও তাদের পূর্ববর্তীরা বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে নালিশী ভূমি হতে নিঃস্বত্ববান ও দখলশুন্য।

বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের রায়, আরজি ও জবাব পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বাদীগণ সি.এস রেকর্ডীয় মালিক জুড়ান সেখের ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তিতে ছাহাম প্রার্থনা করেন। অপরদিকে এই আপীলকারী-বিবাদীপক্ষ জুড়ান সেখের পূর্ববর্তী সি.এস রেকর্ডীয় মালিক মিলন বিবির ওয়ারিশ জেলেমন নেছা ও জুড়ান মন্ডল হতে ক্রয়সূত্রে নালিশী ভূমিতে স্বত্ব প্রার্থনা করে মোকদ্দমা ডিসমিস প্রার্থনা করেন। বাদী-রেসপনডেন্টপক্ষ মেলন বিবির কন্যা হিসাবে জেলেমন নেছাকে আরজিতে অস্বীকার করলেও পি.ডবিøউ-১ আমির হামজা তার জেরাতে দারোগ আলীর স্ত্রী মেলন বিবি, পুত্র হোসেন আলী ও কন্যা জেলেমন উল্লেখ করেন। এছাড়াও প্রদ-চ মূলে ০৫/১২/১৯৪২ ইং তারিখের ৩৭২০ নং দলিল মূলে দাতা হিসেবে জেলেমন নেছার নাম উল্লেখ থাকায় এবং উক্ত দলিলের গর্ভে তার মাতা মিলন বেওয়ার ওয়ারিশ সূত্রে জমি প্রাপ্ত হওয়ার বর্ণনা থাকায় বিবাদীপক্ষের দাবী সত্য যা সঠিকভাবেই বিজ্ঞ বিচারিক আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মর্মে গণ্য হয়। জুড়ান সেখ প্রদ-১ সিরিজ মূলে দাখিলী সি.এস খতিয়ান অনুযায়ী নিজের ও তার মাতার ওয়ারিশ হিসেবে ১২২.৫ শতক এবং তার ভাই জুড়ান সেখের সাথে অর্ধেক সম্পত্তি যা ৫৫.৭৫ একুনে ১৭৮ শতক ভূমি প্রাপ্ত হবে। জুড়ান মন্ডল প্রদ-ঘ ও ছ মূলে যথাক্রমে ০৫ শতক ও ১৬ শতক ভূমি বিক্রয় করেন সংক্রান্ত বিবাদীপক্ষের দলিলাদি দাখিল হলেও অন্য কারো নিকট কোন সম্পত্তি বিক্রয় হয়েছে কিনা এ সংক্রান্ত কোন দলিল বিচারিক আদালতে এমনকি আপীল আদালতেও অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে বিক্রয় বাদে ১৫৭.২৫ শতক ভূমিতে বাদীপক্ষের স্বত্ব আছে সংক্রান্ত বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্ত সঠিক গণ্য করা হলো।

অতএব, বিজ্ঞ নি¤œ আদালতের ০৬/০৬/২০১৮ ইং তারিখের রায় ও বিগত ১০/০৬/২০১৮ ইং তারিখের ডিক্রি বহাল (পড়হভরৎস) রাখা হলো। 

উপরোক্ত বিবেচ্য বিষয়সমূহের সিদ্ধান্ত আপীলকারীপক্ষের প্রতিকূলে গৃহীত হলো। 

আপীলের মেমোতে প্রদত্ত কোর্ট ফি সঠিক।

অতএব,

আদেশ হয় যে,

অত্র আপীল মোকদ্দমাটি দোতরফাসূত্রে নামঞ্জুর করা হলো। এতদ্বারা চৌহালী সহকারী জজ আদালতের বাটোয়ারা ১৯/২০১২ নং মোকদ্দমায় প্রদত্ত বিগত ০৬/০৬/২০১৮ ইং তারিখের রায় ও বিগত ১০/০৬/২০১৮ ইং তারিখের ডিক্রি বহাল রাখা হলো।

অনুরূপভাবে ডিক্রী প্রস্তুত করা হোক। রায়ের অনুলিপি সহ এল,সি,আর সত্বর প্রেরণ করা হোক।

আমার কথিত মতে কম্পোজকৃত এবং সংশোধিত।                 

            

         (সুপ্রিয়া রহমান)                            (সুপ্রিয়া রহমান)

          যুগ্ম জেলা জজ                  যুগ্ম জেলা জজ 

     ১নং আদালত, সিরাজগঞ্জ।    ১নং আদালত, সিরাজগঞ্জ।


দায়বর্জন বিবৃতি (DISCLAIMER)

এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধস্তন আদালতের রায় বা আদেশের অনুলিপি কেবল মামলার সকল পক্ষ, বিজ্ঞ আইনজীবী এবং জনসাধারণের বিচার-প্রক্রিয়ায় সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের অভিপ্রায়ে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে; রায় বা আদেশের অনুলিপি সইমোহরী/জাবেদা নকলের (certified copy) বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মামলার নথিতে বিধৃত মূল অংশ (রায় বা আদেশ) প্রণিধানযোগ্য।